প্রতিষ্ঠানের কানুন ও নীতিমালা
দরস সংক্রান্ত কানুন :
➡ সপ্তাহে অন্তত তিন দিন শনি, সোম ও বুধবার দরস হবে। প্রতিটি দরসে সকলকে যথাসময়ে দরস শুরু হওয়ার দশ মিনিট আগে উপস্থিত থাকতে হবে৷
➡ প্রতিটি দরসে সকলের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। কেউ অনুপস্থিত থাকলে পূর্বেই অবগত করতে হবে। অন্যথায় গাইরে হাজিরির খাতায় নাম চলে যাবে।
➡ ক্লাসে পরিপূর্ণ মনোযোগসহকারে উপস্থিত থাকতে হবে৷ আসাতিযায়ে কেরাম দাখেলা নম্বর বলে ডাক দিলে মাইক্রোফোন অন করে সাড়া দিতে হবে।
➡ প্রতিটি দরসে হাজিরা হবে। হাজিরা খাতায় লিখিতভাবে হাজিরা হবে। এ হাজিরার উপর ভিত্তি করে পরীক্ষায় এক্সটা নম্বর যোগ হবে।
➡ সারা বছর দরসে উপস্থিত থাকতে পারলে এবং কোন গাইরে হাজিরি বা গাইন না পড়লে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার জন্য সম্মানজনক পুরুষ্কারের ব্যবস্থা থাকবে।
➡ দরসী কিতাবের হার্ডকপি অবশ্যই সংগ্রহ করে নিতে হবে। হার্ডকপি ছাড়া কেউ দরসে বসবো না। উস্তাদগণ পিডিএফ পড়া অপছন্দ করে থাকেন। তাই যেভাবেই সম্ভব, হার্ডকপি সংগ্রহ করতে হবে। আমাদের মাধ্যমেও সংগ্রহ করা যাবে।
➡ বাংলা শরাহ পড়ার জন্য আমরা উদ্বুদ্ধ করি না। তবে একান্ত কারো প্রয়োজন হলে এবং এটি ছাড়া অন্যকোন উপায় না থাকলে ‘উপকার থেকে খালি নয়‘— হিসেবে কেউ পড়তে পারে।
➡ কারো যদি বাংলা পিডিএফ ফাইলের প্রয়োজন হয়, তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা করে দিবো। প্রতিটি কিতাবের পিডিএফ বাবদ ১০০/- শুভেচ্ছামূল্য প্রদান করতে হবে।
➡ ধারাবাহিকভাবে পনেরো দিন সর্বোচ্চ ত্রিশ দিন পর্যন্ত কোন শিক্ষার্থী দরসে অনুপস্থিত থাকলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ তার নাম কেটে দেবার অধিকার রাখেন। তাই কারো কোন ওজর থাকলে নাযেম সাহেবকে অবগত করতে হবে।
➡ ক্লাসে অবশ্যই ক্বওমী মাদরাসার ড্রেস কোড (পাঞ্জাবি, জুব্বা, পায়জামা, পাঁচ কুলি টুপি) পরিধান করে বসবো। গেঞ্জি, ফতুয়া, শার্ট ইত্যাদি বা খালি গায়ে কখনো ক্লাসে বসবো না।
➡ ক্লাসে হাসি–তামাশা বা নিজেদের কাজে মশগুল হওয়া যাবে না। ক্লাসের পূর্ণ সময়টুকু পুরো মনোযোগ সহকারে সবক শুনতে হবে।
➡ ক্লাস শুরু হওয়ার দশ মিনিট পূর্বেই লিংকে ক্লিক করে দরসে জয়েন হতে হবে। তাই পূর্বেই সকল ব্যস্ততা থেকে ফারেগ হয়ে যেতে হবে।
➡ প্রতিদিনের সবক প্রতিদিন ইয়াদ করতে হবে। উস্তাদগণ সবক জিজ্ঞেস করবেন। সেই সাথে সামনের সবক মু‘তালাআ করে আসতে হবে।
➡ প্রত্যেককেই চেষ্টা করতে হবে সামনের সবক পড়ার জন্য। তাই শিক্ষার্থীগণ নিজেরা রুটিন করে কিতাব ভাগ করে নিয়ে সে অনুযায়ী সামনের সবক দেখে এসে ক্লাসে পড়তে হবে৷
➡ সরকারি বা বেসরকারি ছুটির দিন বা অন্যকোন উপলক্ষে কোন দিন দরস বন্ধ থাকবে না। সারা বছর দরস চলবে। অবশ্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কোন দিন দরস বন্ধের নোটিশ আসলে তা পূর্বেই জানিয়ে দেওয়া হবে।
➡ শিক্ষার্থীগণ নিজেরা ক্লাসের পড়া তাকরার করার জন্য প্রস্তুতি নিবে। সকলেই চেষ্টা করবে পূর্ণ ইহতেমামের সাথে তাকরার করতে।
➡ আসাতিযায়ে কেরামগণকে হযরত, হযরতজি, উস্তাদজী, শায়খ প্রভৃতি মুনাসিব শব্দে সম্বোধন করতে হবে। ভাই বা অযাচিত কোন শব্দ ব্যবহার করা যাবে না।
➡ ক্লাস গুগল মিট বা জুম সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এপস দু‘টো নামিয়ে রাখতে হবে। গুগল প্লেস্টর থেকে সহজেই এপস দু‘টো নামানো যাবে।
➡ প্রথম দরস থেকে নিয়ে প্রতিটি দরসের অডিও/ভিডিও সংগ্রহ করা হবে। প্রতিটি দরস ইউটিউবে আপলোড করা হবে। তাই দরসে কারো সবক বুঝে না আসলে পরবর্তীতে ভিডিও দেখে আয়ত্ত্ব করে নেবার সুযোগ থাকবে।
➡ দরসের অডিও/ভিডিও সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রতিটি দরসের শীট থাকবে। দরসের শীট দেখেও প্রত্যেক শিক্ষার্থী উক্ত দিনের দরস সম্পর্কে অবগত হতে পারবে।
➡ দরস সংক্রান্ত সমস্ত আপডেট এ সাইটে থাকবে। তাই যে কোন শিক্ষার্থী যে কোন সমস্যায় সাইট ভিজিট করে উক্ত সমস্যার সমাধান পেতে পারবে।
অনলাইন সংক্রান্ত কিছু নিয়মাবলী :
➡ দাখেলা প্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ফেসবুক, মেসেঞ্জারে এক্টিভ থাকতে হবে।
আমাদের মূল কার্যক্রম যেহেতু মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে, কাজেই সকলকে সচল ও ব্যবহৃত আইডির মাধ্যমে ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে এক্টিভ থাকতে হবে।
➡ মূল ইফতা গ্রুপ যা ‘ইফতা বিভাগ‘ নামে থাকবে তাতে কোন ধরনের লাইক, কমেন্ট, ইমুজি বা কুশল বিনিময় করা যাবে না। উক্ত মেইন গ্রুপে শুধুমাত্র এডমিন মেসেজ করতে পারবেন। শিক্ষার্থীগণের জন্য সর্বোচ্চ এডমিনের ম্যাসেজের উপর রিয়েক্ট দেওয়ার অনুমতি রয়েছে।
➡ শিক্ষার্থীগণের পরস্পরের কথা–বার্তা ও আলাপচারিতার জন্য ‘ইফতা স্টুডেন্ট‘ নামে একটি গ্রুপ থাকবে। উক্ত গ্রুপটিতে আসাতিযায়ে কেরাম থাকবেন না। সেখানে শিক্ষার্থীগণের জন্য নিজেদের মতকরে কথাবার্তা বলার সুযোগ রয়েছে।
➡ প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা গ্রুপ থাকবে। তামরীন ও মুতালাআর জন্যও আলাদা গ্রুপ থাকবে। তাই যে গ্রুপ যে কাজের জন্য নির্দিষ্ট, সেই গ্রুপকে ওই কাজ ছাড়া অন্যকোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
➡ দরসের জন্য উপযুক্ত ডিভাইস অন্তত 2 জিবি রেমবিশিষ্ট এন্ড্রয়েড ফোন/ল্যাপটপ/পিসি থাকা আবশ্যক। সেই সাথে কমপক্ষে 2 এমবিপিএস নেট কানেকশন থাকতে হবে। যাতে দরসে জয়েন হতে কোন সমস্যা না হয়।
➡ প্রত্যেকের কাছে একটি ভালো মানের হেডফোন ও মোবাইল স্ট্যান্ড থাকা কাম্য। ব্লুটুথ হেডফোন হলে আরও বেশি ভালো হয়। তাহলে কোন প্রয়োজনে দরসে থেকে ওঠে গেলেও সবক শুনা যাবে।
পরীক্ষা সংক্রান্ত নিয়মাবলী :
➡ আমাদের প্রতিষ্ঠানের সকল পরীক্ষা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। যেভাবে দরস হয় সেভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে ভিডিও অন রাখা আবশ্যক।
➡ পরীক্ষা চলাকালীন পূর্ণ সময় ভিডিও অন রাখা আবশ্যক। ভিডিও অন না করে পরীক্ষা দিলে পরীক্ষা বাতিল বলে গণ্য হবে৷
➡ সারা বছর মূল তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মূল পরীক্ষা ছাড়াও এক বা একাধিক টেস্ট পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
➡ প্রতিটি মূল পরীক্ষার ফি পাঁচ শত টাকা। টেস্ট পরীক্ষার কোন ফি নেই৷
➡ ক্লাসে উপস্থিতি, টেস্ট ও মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, পড়াশোনায় মনোযোগ ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে পরীক্ষার নম্বর কমবেশি হতে পারে।
➡ ইফতার সনদ পেতে হলে বার্ষিক পরীক্ষায় মুমতায, জায়্যিদ জিদ্দান ও অন্তত জায়্যিদ হতে হবে। এর চেয়ে নীচের বিভাগ পেলে সনদ স্থগিত থাকবে৷
➡ সনদে পাশের বিভাগ উল্লেখ থাকবে। কাজেই এ বিষয়টির প্রতি লক্ষ রেখেই সকলকে পড়াশোনা ও পরীক্ষায় মনোযোগী হওয়া উচিৎ।
➡ কোন শিক্ষার্থী প্রথম বা দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার নাম কাটার অধিকার থাকবে।
➡ কারো ‘ওজরে মাকুল‘ থাকলে প্রথম দুই পরীক্ষা লিখিত দিতে না পারলেও মৌখিক দেবার সুযোগ রয়েছে। তবে বার্ষিক পরীক্ষা কোনভাবেই মৌখিক দেবার সুযোগ নেই। লিখিতভাবে দেওয়া ছাড়া সনদ প্রদান স্থগিত থাকবে।
➡ যে কোন দুই কিতাবে ফেইল করলে অর্থাৎ পয়ত্রিশ এর কম নম্বর পেলে পুরো পরীক্ষায় ফেইল করেছে বলে গণ্য হবে। এমনকি অন্য কিতাবে মুমতায পেলেও। বার্ষিক পরীক্ষায় এমনটি হলে তার সনদ স্থগিত থাকবে।
➡ পরীক্ষা শুরু আগেই ভালো মানের A4 সাইজের কাগজ সংগ্রহ করে নিতে হবে। কোন শিক্ষার্থী A4 সাইজের সাদা পেইজ না পেলে অন্তত সাদা অংক খাতা হলেও সংগ্রহ করে নিতে হবে। বাংলা খাতায় পরীক্ষায় গ্রহণযোগ্য নয়।
➡ প্রতিটি পরীক্ষার জন্য একটি করে কভার পেইজ নিতে হবে। কভার পেইজটি পূরণ করে খাতার প্রথমে পিনআপ করে নিতে হবে। কভার পেইজটি সংগ্রহ করে নীচের লিংকে ক্লিক করুন : — https://drive.google.com/file/d/1BHL3ZsCtbEaYo_lE53rbBwcKctipFwZ-/view?usp=drivesdk
➡ পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই প্রশ্ন বুঝে নিতে হবে। পরবর্তীতে প্রশ্ন বুঝার কোন সুযোগ থাকবে না।
➡ পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে মিট/জুম থেকে বের হয়ে যাওয়া, এদিক সেদিক তাকানো, মোবাইলে বা সরাসরি কারো সাথে কথা বলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
➡ কভার পেইজে সুস্পষ্টভাবে নাম, রোল নম্বর, কিতাবের নাম, বিষয়, বিভাগ ও তারিখ লিখতে হবে। কভার পেইজ কীভাবে পূরণ করবেন এ সম্পর্কে জানতে নীচের ভিডিওটি দেখুন :—
➡ শেষ ঘণ্টা বাজার সাথে সাথেই খাতা পিন আপ করে ছবি তুলে সংশ্লিষ্ট উস্তাতজীর ইনবক্সে পাঠিয়ে দিতে হবে। ছবি তুলে জমা দেওয়ার পর খাতায় কোন রকম পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন গ্রহণযোগ্য নয়। বিন্দুমাত্র পরিবর্তন পাওয়া গেলে খাতা বাতিল বলে গণ্য হবে।
➡ সবগুলো পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর খাতাগুলো প্রতিষ্ঠান বরাবর ‘আর্জেন্ট হোম ডেলিভারি‘ করে কুরিয়ার করে দিতে হবে। আসাতিযায়ে কেরামগণ সরাসরি খাতা দেখে নম্বর প্রদান করে থাকেন।
➡ কোন শিক্ষার্থীর খাতা পাঠালে সমস্যা হলে উক্ত শিক্ষার্থী প্রতিটি খাতার পিডিএফ ফাইল পাঠিয়ে দিলে কর্তৃপক্ষ খাতাগুলো প্রিন্ট আউট করে নিবে। এ ক্ষেত্রে চার্জ প্রযোজ্য।
➡ খাতা হাতে আসার পর আসাতিযায়ে কেরামগণ ইনবক্সে পাঠানো ছবি ও হাতে আসা খাতা একসাথে মিলিয়ে দেখেন, কোন পরিবর্তন–পরিবর্ধন আছে কিনা। কোন ব্যতিক্রম নজর পড়লে নম্বর কর্তন হবে এমনকি উক্ত কিতাবের পরীক্ষা বাতিল বলে গণ্য হবে।
➡ প্রতিটি পরীক্ষার ফলাফল প্রতিষ্ঠানের সাইটে প্রকাশিত হবে। সকল শিক্ষার্থীগণ সাইট থেকে যে কোন সময় নিজ ফলাফল দেখে নিতে পারবে।
তামরীনুল ফতোয়া ও মুতালা সংক্রান্ত কানূন :
➡ তামরীনুল ফতোয়া ও মু‘তালাআ সংক্রান্ত আলোচনা ও কথাবার্তার জন্য পৃথক মেসেঞ্জার গ্রুপ থাকবে।
➡ সারা বছর অন্তত পঞ্চাশটি তামরীন করতে হবে। কাজেই সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে পূর্ব থেকেই তামরীনের জন্য সকলকে মনোযোগী হতে হবে।
➡ তামরীন কীভাবে করতে হবে—এ সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম দরসে শিখিয়ে দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত পিডিএফটি মুখস্থ করে সবগুলো নিয়ম যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
➡ তামরীনের জন্য দরসী কিতাবাদি ছাড়াও ফতোয়ার কিতাবসমূহ মু‘তালাআ করতে হবে। ফতোয়ার কিতাবসমূহ ডাউনলোড করতে সাইটের ‘কিতাবাদি‘ ক্যাটাগরি ভিজিট করুন।
➡ তামরীনের ছবি Doc Scanner অ্যাপ দিয়ে ছবি তুলে উস্তাদজীর ইনবক্সে পাঠাতে হবে। যারা কম্পিউটারে তামরীন করবেন, তারা জিপিজি ফাইল পাঠাবেন।
পিডিএফ ফাইল কীভাবে জিপিজিতে কনভার্ট করতে হয়, এ সম্পর্কে ভিডিও দেখতে সাইটের ‘ভিডিও‘ ক্যাটাগরি ভিজিট করুন।
➡ পরীক্ষার সময় পরীক্ষার উত্তরপত্রের সাথে তামরীনের ফাইনাল কপি পাঠিয়ে দিতে হবে। আসাতিযায়ে কেরাম দেখে তাসহীহ করে সাইন করে দিবেন।
➡ প্রতিদিন মু‘তালার জন্য যতটুকু নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে, ততটুকু ভালোকরে আয়ত্ত্ব করে নিতে হবে। যাতে পরীক্ষায় আসলে বা দরসে জিজ্ঞাস করা হলে বলা যায়৷
➡ উস্তাদজী কর্তৃক নির্ধারিত মু‘তালাআর অংশ ছাড়াও যখনই সময় পাওয়া যাবে মু‘তালায় মনোনিবেশ করতে হবে। মু‘তালার সমস্ত কিতাবাদি সাইটের ‘ইফতা বিভাগের মু‘তালাআর কিতাবসমূহ‘ ক্যাটাগরি থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
সমাপনী অনুষ্ঠান ও বার্ষিক পরীক্ষা সংক্রান্ত নিয়মাবলী :
➡ বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলে মাদরাসাতুর রহমান একটি সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। অনুষ্ঠানটি কখনো সরাসরি প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। কখনো আসাতিযায়ে কেরামের পরামর্শ ও সার্বিক পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য করে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে অনলাইনে আয়োজন করা হয়ে থাকে।
➡ উক্ত অনুষ্ঠানে ইফতা সমাপনী শিক্ষার্থীদের পাগড়ি, ক্র্যাচ, সনদ, মার্কশিট, প্রত্যয়নপত্র ইত্যাদি প্রদান করা হয়ে থাকে। তাই সকল শিক্ষার্থীকে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক।
➡ অনুষ্ঠানের পূর্বেই সমস্ত বকেয়া পরিশোধ করে দিতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শিক্ষার্থীকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হবে।
➡ উক্ত অনুষ্ঠানে প্রদানকৃত পাগড়ি, সনদ, মার্কশিট ইত্যাদি বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অন্তত ২০০০/- জমা দিতে হবে। তবেই সে উল্লেখিত জিনিসগুলো পাওয়ার যোগ্য হবে।
বেতন সংক্রান্ত কানূন :
➡ প্রতি মাসের ১–৫ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ করতে হবে। সর্বোচ্চ ১০ তারিখ পর্যন্ত সুযোগ রয়েছে। এর আগেই পূর্বের মাসের বেতন পরিশোধ করে দিতে হবে।
➡ যে কোন লেনদেনের একমাত্র নম্বর—0199 28 52 342. এই নম্বরটিতে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় সবকিছুই রয়েছে। এটি পার্সোনাল নম্বর। কাজেই খরচসহ সেন্ডমানি করতে হবে।
➡ কোন শিক্ষার্থী ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন পাঠাতে চাইলে নীচের লিংকে ক্লিক করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে—
➡ পেমেন্ট সংক্রান্ত সকল আপডেট ‘নোটিশ‘ নামক গ্রুপে জানানো হবে। ব্যক্তিগতভাবে ইনবক্সে রশিদের হার্ডকপি পাঠানোর পাশাপাশি গ্রুপে টেক্সট আকারেও রশিদ প্রদান করা হবে। পেমেন্ট সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে নীচের লিংকে ক্লিক করুন :-
➡ যতদিন প্রতিষ্ঠানে নাম রেজিস্টি থাকবে ততদিন পর্যন্ত বেতন পরিশোধ করে যেতে হবে। কাজেই কোর্স কন্টিনিউ করতে না চাইলে প্রতিষ্ঠানের রেজিস্টি খাতা থেকে নাম কাটিয়ে নিতে হবে।
➡ ক্লাস না করলেও বেতন দিতে হবে। ক্লাসের অনুপস্থিতির উপর ভিত্তি করে বেতন কর্তন করা হয় না। কোন প্রতিষ্ঠানেই এমনটি করা হয় না। কোন শিক্ষার্থী সারা মাস ক্লাস না করলেও বেতন প্রদানে বাধ্য থাকবে। ছুটির দিনগুলোর কারণে বেতন কর্তন হয় না।
➡ ধারাবাহিক তিন মাস পর্যন্ত বেতন বকেয়া থাকলে ক্লাস স্থগিত থাকবে৷ বকেয়া বেতন পরিশোধ সাপেক্ষ পুনরায় ক্লাসের সুযোগ থাকবে।
➡ সমস্ত বকেয়া পরিশোধ সাপেক্ষে সমাপনী অনুষ্ঠান ও সনদ কার্যক্রম চালু হবে। কাজেই প্রতি মাসের মুআমালা প্রতি মাসেই শেষ করে ফেললে সবচেয়ে সহজ হবে।
বিঃদ্র : — “প্রতিষ্ঠানের যে কোন কানূন ও নীতিমালা পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন এবং বাতিল করার পূর্ণ অধিকার ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করেন।“