মাদ্রাসাতুর রহমান আল-ইসলামিয়া

আমাদের এ প্রতিষ্ঠানটির সূচনালগ্নের ইতিহাস গতানুগতিক অন্য সকল অনলাইন ইফতা বিভাগের চেয়ে অনেকটা ভিন্ন। আর তাই আমরাও আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে শিক্ষার্থী ও আহবাবদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।
কারণ, আমাদের এ অনলাইন প্লাটফর্মের সূচনাটা মূলত ছোট্ট একটি ঘটনাকে কেন্দ্রকরে। সেই ঘটনার বীজ থেকে যে চারাটি গজিয়েছে, আমাদের এ প্রতিষ্ঠানটিই হলো সেই চারা। অতএব যে উদ্দেশ্যে আমরা অনলাইন প্লাটফর্মে এসেছি, আবশ্যকীয়ভাবে আমাদেরকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতেই হবে।

সাল ২০২২। এ খৃষ্টাব্দের শেষের দিকে সদ্য ফারেগ কয়েকজন মেহনতী শিক্ষার্থী ঢাকার নিকটস্থ অনলাইন ও অফলাইনভিত্তিক একটি ইফতা বিভাগে ভর্তি হলেন। প্রতিষ্ঠানটির নামডাক শুনে অনেক আশা ভরসা নিয়ে তারা ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু ভর্তি হবার পর ঘটলো ভিন্ন ঘটনা! বিস্তারিত ঘটনার দিকে আমরা যাচ্ছি না, মেইন কিছু পয়েন্ট আমরা তুলে ধরছি। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন ও অফলাইন ভিত্তিক হওয়াতে ছাত্রদের দু’ব্যাচে ক্লাসে হতো। যারা মাদ্রাসায় থাকতো, তারা নিয়মিত ক্লাস করতো, আর যারা অনলাইনে ছিলো, তাদের অনেকেই সপ্তাহে দু-তিন দিন রাতে বা প্রতি শুক্রবার ক্লাস করতো। এটিই সাধারণ নিয়ম ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি স্বল্প সময়ের জন্যও এ নিয়মগুলো ধরে রাখতে পারেনি। দ্বিতীয়ত ছিল, খাবারের সমস্যা! এত সময় পার হয়েও একটি প্রতিষ্ঠানের খাবারের মান এত নীচু হতে পারে, তা কল্পনার বাহিরে ছিল। ছাত্রদের প্রতিনিয়ত হোটেল থেকে তরকারী নিয়ে আসতে হতো এবং প্রায়শই বাহিরে খাবার খেতে হত। এ সমস্ত অভিযোগ মুহতামীম সাহেবের নিকট দাখিল করেও কোন লাভ হয়নি। অবশেষে কয়েকজন ছাত্র কুরবানীর ঈদের ছুটির আগেই মাদ্রাসা ত্যাগ করলেন, বাকীরা কুরবানী পর্যন্ত কোন রকম টিকে রইলেন। কিন্তু মাদ্রাসা খোলার পর তারাও আর টিকে থাকতে পারলেন না। কীভাবেই বা থাকা সম্ভব?! একাধিক সমস্যা! খাবারের সমস্যা!! ক্লাস বন্ধের পথে!! এদিকে আবাসিক ছাত্রদের সংখ্যা কম হওয়াতে মুহতামীম সাহেবের তাদের প্রতি কোন গুরুত্বই নেই। এভাবে আর কত দিন চলে???

অপরদিকে নতুন শিক্ষাবর্ষের বেশ কয়েকটি মাস ইতোমধ্যে অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। ভালো কোন প্রতিষ্ঠানে নতুন করে আবার ভর্তি হওয়াটাও অসম্ভব। বাধ্যহয়ে তারা নিজেরাই ফিকির করলো, কী করা যায়? তখন উক্ত শিক্ষার্থীবৃন্দ আমাদের শরণাপন্ন হলেন। বিষয়গুলো শোনার পর আমরাও খুব মর্মাহত হলাম। তাদের অভিযোগগুলোর মধ্যে একটি বড় অভিযোগ ছিল, প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন হওয়াতে আমাদের আবাসিক ছাত্রদের বিষয়ে তারা কোন গুরুত্বই দেয়নি, যদিও শুরুতে তারা আবাসিক ছাত্র রাখার ব্যাপারে কথা দিয়েছিল। এ ছাড়াও অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হওয়াতে দনসের মান, দরসে উপস্থিতি-অনুপস্থিতি, শিক্ষার্থীদের অবহেলা— ইত্যাদি বিষয়গুলো ছিল চোখে পড়ার মত।

তাদের থেকে বিষয়গুলো মোটামুটি জানার পর তাদের থেকে একজন শিক্ষার্থী আমাদের কাছে বিশেষভাবে আবদার জানালেন যে, আমরা নিজেরাই যেন একটি ব্যতিক্রমধর্মী অনলাইন প্লাটফর্মের ব্যবস্থা করি, যেখানে মেইন লক্ষ্য উদ্দেশ্য থাকবে, ছাত্রদেরকে গড়ে তোলা, তাদের কুওয়াতে ইস্তে’অদাদ বৃদ্ধি করা, তাদেরকে সনদ নির্ভর না করে মেহনত নির্ভর করা। পাশাপাশি যারা ফতোয়া প্রদানের মত এত বড় একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিজেকে নিয়োগ করতে চায়, তারা কীভাবে ফতোয়ার কিতাবাদী অধ্যায়ন করবে, মাসআলা-মাসায়েল তাহকীক করবে, কখন ফতোয়া দিবে, কখন ফতোয়া প্রদান থেকে বিরত থাকবে—ইত্যাদি বিষয়গুলো যথাযথভাবে শিখানো হবে।

তার কথা ও দিলের তামান্না শোনার পর আমরা অনলাইন ইফতা বিভাগের কিছু মন্দ দিকও তুলে ধরলাম, তখন সে আমাদের তার নিজস্ব কর্মপদ্ধতি ও তার বিশেষ কিছু প্ল্যান আমাদের মাঝে শেয়ার করলো। সেই সাথে অনলাইন ইফতা বিভাগের প্রতি সাধারণ মানুষ বিশেষকরে শিক্ষার্থীদের যে বিরূপ ধারণা রয়েছে, তা দূরীকরণে তার কর্মপন্থা, পদ্ধতি ও চিন্তা-ভাবনাগুলো যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত মনে হলো।

এভাবে আর্থিক বিষয়সহ আরও বেশকিছু বিষয়ে তার সাথে কয়েকদিন পর্যন্ত বেশ কিছু সময় ধরে কথা-বার্তা, পরামর্শ হলো। শেষ পর্যন্ত তার অদম্য আগ্রহ আর প্রবল ইচ্ছাশক্তির কাছে আমাদের হার মানতেই হলো৷ তাই আমরা আমাদের নিজেদের কর্মস্থল থেকে তার সাথে থাকার এবং তাকে সর্ব বিষয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিলাম। আমাদের থেকে আশা-ভরসা পাওয়ার পর সে চলতি বছরের মাঝেই তাদের ক্লাসমেটসহ আরও বেশকিছু শিক্ষার্থী জড়ো করে নিল। মূলত এভাবেই আমাদের ছোট্ট এ প্লাটফর্মটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। যদিও এরই মাঝে আরও অনেক উত্থান-পতন ও ভাঙা-গড়ার ইতিহাস রয়েছে।

আমরা ইতোমধ্যে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ইফতা প্রথম ব্যাচ সমাপ্ত করেছি। এখন দ্বিতীয় ব্যাচ (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) সমাপ্ত করে তৃতীয় ব্যাচ শুরু হওয়ার পথে আলহামদুলিল্লাহ। আমরা সর্বদার চেষ্টা করে যাচ্ছি, অন্যদের থেকে একটু আলাদাভাবে গতানুগতিক ধারা থেকে সরে গিয়ে এমন কিছু করতে, আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীদের এমন কিছু উপহার দিতে যা সাধারণত কোন প্রতিষ্ঠান করে না। ইতোমধ্যে সেই লক্ষ্যে আমরা কিছুটা এগিয়ে গিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। তাই আমরা আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস থেকে বলতে পারি, কোন শিক্ষার্থী যদি আমাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন, ইনশাআল্লাহ তিনি কখনোই এ কথা বলার ফুরসত পাবেন না যে আমাদের দ্বারা তার পড়া-লেখার কোন ক্ষতি বা বিঘ্ন ঘটেছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের অন্যন্য কিছু বৈশিষ্ট থেকে শিক্ষার্থীগণ এ বিষয়ে আরও ব্যাপক ধারণা লাভ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

পরিশেষে বলবো, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যত বড়ই হোক না কেন, কেউই ভুল-ভ্রান্তি, ত্রুটি-বিচ্যুতির উর্ধ্বে নয়। কিন্তু আমরা যদি আমাদের ভুলগুলো একপাশে রেখে মেহনত-মুজাহাদা ও পরিশ্রমের সর্বোচ্চটুকু আপনাদের জন্য ব্যয় করে থাকি, আর আপনারাও যদি পুরোটা সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে আমাদের সাথে লেগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিকভাবে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন, আমীন।

মাদ্রাসাতুর রহমান আল-ইসলামিয়া

আমাদের এ প্রতিষ্ঠানটির সূচনালগ্নের ইতিহাস গতানুগতিক অন্য সকল অনলাইন ইফতা বিভাগের চেয়ে অনেকটা ভিন্ন।  আর তাই আমরাও আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে শিক্ষার্থী ও আহবাবদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।  কারণ, আমাদের এ অনলাইন প্লাটফর্মের সূচনাটা মূলত ছোট্ট একটি ঘটনাকে কেন্দ্রকরে। সেই ঘটনার বীজ থেকে যে চারাটি গজিয়েছে, আমাদের এ প্রতিষ্ঠানটিই হলো সেই চারা। অতএব যে উদ্দেশ্যে আমরা অনলাইন প্লাটফর্মে এসেছি, আবশ্যকীয়ভাবে আমাদেরকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতেই হবে।

সাল ২০২২।  এ খৃষ্টাব্দের শেষের দিকে সদ্য ফারেগ কয়েকজন মেহনতী শিক্ষার্থী ঢাকার নিকটস্থ অনলাইন ও অফলাইনভিত্তিক একটি ইফতা বিভাগে ভর্তি হলেন।  প্রতিষ্ঠানটির নামডাক শুনে অনেক আশা ভরসা নিয়ে তারা ভর্তি হয়েছিলেন।  কিন্তু ভর্তি হবার পর ঘটলো ভিন্ন ঘটনা! বিস্তারিত ঘটনার দিকে আমরা যাচ্ছি না, মেইন কিছু পয়েন্ট আমরা তুলে ধরছি।  উক্ত প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন ও অফলাইন ভিত্তিক হওয়াতে ছাত্রদের দু’ব্যাচে ক্লাসে হতো।  যারা মাদ্রাসায় থাকতো, তারা নিয়মিত ক্লাস করতো, আর যারা অনলাইনে ছিলো, তাদের অনেকেই সপ্তাহে দু-তিন দিন রাতে বা প্রতি শুক্রবার ক্লাস করতো।  এটিই সাধারণ নিয়ম ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি স্বল্প সময়ের জন্যও এ নিয়মগুলো ধরে রাখতে পারেনি।  দ্বিতীয়ত ছিল, খাবারের সমস্যা! এত সময় পার হয়েও একটি প্রতিষ্ঠানের খাবারের মান এত নীচু হতে পারে, তা কল্পনার বাহিরে ছিল।  ছাত্রদের প্রতিনিয়ত হোটেল থেকে তরকারী নিয়ে আসতে হতো এবং প্রায়শই বাহিরে খাবার খেতে হত। এ সমস্ত অভিযোগ মুহতামীম সাহেবের নিকট দাখিল করেও কোন লাভ হয়নি।  অবশেষে কয়েকজন ছাত্র কুরবানীর ঈদের ছুটির আগেই মাদ্রাসা ত্যাগ করলেন, বাকীরা কুরবানী পর্যন্ত কোন রকম টিকে রইলেন।  কিন্তু মাদ্রাসা খোলার পর তারাও আর টিকে থাকতে পারলেন না।  কীভাবেই বা থাকা সম্ভব?! একাধিক সমস্যা! খাবারের সমস্যা!! ক্লাস বন্ধের পথে!! এদিকে আবাসিক ছাত্রদের সংখ্যা কম হওয়াতে মুহতামীম সাহেবের তাদের প্রতি কোন গুরুত্বই নেই।   এভাবে আর কত দিন চলে???

অপরদিকে নতুন শিক্ষাবর্ষের বেশ কয়েকটি মাস ইতোমধ্যে অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে।  ভালো কোন প্রতিষ্ঠানে নতুন করে আবার ভর্তি হওয়াটাও অসম্ভব।   বাধ্যহয়ে তারা নিজেরাই ফিকির করলো, কী করা যায়? তখন উক্ত শিক্ষার্থীবৃন্দ আমাদের শরণাপন্ন হলেন।  বিষয়গুলো শোনার পর আমরাও খুব মর্মাহত হলাম। তাদের অভিযোগগুলোর মধ্যে একটি বড় অভিযোগ ছিল, প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন হওয়াতে আমাদের আবাসিক ছাত্রদের বিষয়ে তারা কোন গুরুত্বই দেয়নি, যদিও শুরুতে তারা আবাসিক ছাত্র রাখার ব্যাপারে কথা দিয়েছিল।  এ ছাড়াও অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হওয়াতে দনসের মান, দরসে উপস্থিতি-অনুপস্থিতি, শিক্ষার্থীদের অবহেলা— ইত্যাদি বিষয়গুলো ছিল চোখে পড়ার মত।

তাদের থেকে বিষয়গুলো মোটামুটি জানার পর তাদের থেকে একজন শিক্ষার্থী আমাদের কাছে বিশেষভাবে আবদার জানালেন যে, আমরা নিজেরাই যেন একটি ব্যতিক্রমধর্মী অনলাইন প্লাটফর্মের ব্যবস্থা করি, যেখানে মেইন লক্ষ্য উদ্দেশ্য থাকবে, ছাত্রদেরকে গড়ে তোলা, তাদের কুওয়াতে ইস্তে’অদাদ বৃদ্ধি করা, তাদেরকে সনদ নির্ভর না করে মেহনত নির্ভর করা।  পাশাপাশি যারা ফতোয়া প্রদানের মত এত বড় একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিজেকে নিয়োগ করতে চায়, তারা কীভাবে ফতোয়ার কিতাবাদী অধ্যায়ন করবে, মাসআলা-মাসায়েল তাহকীক করবে, কখন ফতোয়া দিবে, কখন ফতোয়া প্রদান থেকে বিরত থাকবে—ইত্যাদি বিষয়গুলো যথাযথভাবে শিখানো হবে।

তার কথা ও দিলের তামান্না শোনার পর আমরা অনলাইন ইফতা বিভাগের কিছু মন্দ দিকও তুলে ধরলাম, তখন সে আমাদের তার নিজস্ব কর্মপদ্ধতি ও তার বিশেষ কিছু প্ল্যান আমাদের মাঝে শেয়ার করলো। সেই সাথে অনলাইন ইফতা বিভাগের প্রতি সাধারণ মানুষ বিশেষকরে শিক্ষার্থীদের যে বিরূপ ধারণা রয়েছে, তা দূরীকরণে তার কর্মপন্থা, পদ্ধতি ও চিন্তা-ভাবনাগুলো যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত মনে হলো।

এভাবে আর্থিক বিষয়সহ আরও বেশকিছু বিষয়ে তার সাথে কয়েকদিন পর্যন্ত বেশ কিছু সময় ধরে কথা-বার্তা, পরামর্শ হলো।  শেষ পর্যন্ত তার অদম্য আগ্রহ আর প্রবল ইচ্ছাশক্তির কাছে আমাদের হার মানতেই হলো ৷  তাই আমরা আমাদের নিজেদের কর্মস্থল থেকে তার সাথে থাকার এবং তাকে সর্ব বিষয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিলাম।  আমাদের থেকে আশা-ভরসা পাওয়ার পর সে চলতি বছরের মাঝেই তাদের ক্লাসমেটসহ আরও বেশকিছু শিক্ষার্থী জড়ো করে নিল।   মূলত এভাবেই আমাদের ছোট্ট এ প্লাটফর্মটির যাত্রা শুরু হয়েছিল।  যদিও এরই মাঝে আরও অনেক উত্থান-পতন ও ভাঙা-গড়ার ইতিহাস রয়েছে।

আমরা ইতোমধ্যে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ইফতা প্রথম ব্যাচ সমাপ্ত করেছি।  এখন দ্বিতীয় ব্যাচ (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) সমাপ্ত করে তৃতীয় ব্যাচ শুরু হওয়ার পথে আলহামদুলিল্লাহ।  আমরা সর্বদার চেষ্টা করে যাচ্ছি, অন্যদের থেকে একটু আলাদাভাবে গতানুগতিক ধারা থেকে সরে গিয়ে এমন কিছু করতে, আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীদের এমন কিছু উপহার দিতে যা সাধারণত কোন প্রতিষ্ঠান করে না।  ইতোমধ্যে সেই লক্ষ্যে আমরা কিছুটা এগিয়ে গিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।  তাই আমরা আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস থেকে বলতে পারি, কোন শিক্ষার্থী যদি আমাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন, ইনশাআল্লাহ তিনি কখনোই এ কথা বলার ফুরসত পাবেন না যে আমাদের দ্বারা তার পড়া-লেখার কোন ক্ষতি বা বিঘ্ন ঘটেছে।  আমাদের প্রতিষ্ঠানের অন্যন্য কিছু বৈশিষ্ট থেকে শিক্ষার্থীগণ এ বিষয়ে আরও ব্যাপক ধারণা লাভ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

পরিশেষে বলবো, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যত বড়ই হোক না কেন, কেউই ভুল-ভ্রান্তি, ত্রুটি-বিচ্যুতির উর্ধ্বে নয়।  কিন্তু আমরা যদি আমাদের ভুলগুলো একপাশে রেখে মেহনত-মুজাহাদা ও পরিশ্রমের সর্বোচ্চটুকু আপনাদের জন্য ব্যয় করে থাকি, আর আপনারাও যদি পুরোটা সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে আমাদের সাথে লেগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তৌফিক দান করুন, আমীন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিকভাবে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন, আমীন।