
ইফতা বিভাগ : ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক অনুষ্ঠান কার্যক্রম বিবরণী
🌟 মাদরাসাতুর রহমান আল ইসলামিয়া
📚 ইফতা বিভাগ – প্রথম ব্যাচ (শিক্ষাবর্ষ: ২০২২-২৩)
আলহামদুলিল্লাহ, মহান রবের অশেষ মেহেরবানিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে মাদরাসাতুর রহমান আল ইসলামিয়ার ইফতা বিভাগের প্রথম ব্যাচের শুভসূচনা হয়। এই ব্যাচের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল আমাদের স্বপ্নের পথে প্রথম দৃঢ় পদক্ষেপ।
প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়। সময়টি ছিল বছরান্তের দিকে, অর্থাৎ একটি “ভাংতি বছর”। ফলে পূর্ণাঙ্গ পাঠক্রম বা অফিসিয়াল কাঠামো অনুযায়ী নয়, বরং পরীক্ষামূলক ও সীমিত পরিসরে আমরা এই বিভাগের কার্যক্রম শুরু করি।
🏫 সংক্ষিপ্ত পরিসরে শিক্ষার প্রচেষ্টা
প্রচারণার সুযোগ সীমিত থাকলেও, আল্লাহর ফজলে কিছু উৎসাহী শিক্ষার্থী আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান। আমাদের নিজেরাও কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রস্তুত রেখেছিলাম, যারা শুরু থেকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এভাবেই গড়ে ওঠে আমাদের ইফতা বিভাগের প্রথম ব্যাচ, যা মূলত ছিল ছয় মাস মেয়াদী একটি সংক্ষিপ্ত কোর্স।
এই কোর্সে আমরা মৌলিক কিছু বিষয়কে কেন্দ্র করে ছাত্রদের মেহনত, অধ্যবসায় ও ইলমি মনোভাব তৈরি করার দিকে গুরুত্ব দিয়েছি। সময় স্বল্পতা ও কাঠামোগত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা শিক্ষার্থীদেরকে যথাসম্ভব উপকার দেওয়ার চেষ্টা করেছি—আলহামদুলিল্লাহ।
📉 কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতা ও ভবিষ্যতের আহ্বান
বার্ষিক পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিই—
এই কোর্সটি ছিল ৬ মাস মেয়াদী একটি বিশেষ কোর্স, এবং এটি আমাদের পূর্ণাঙ্গ পাঠক্রম নয়। তাই আমরা শিক্ষার্থীদেরকে আহ্বান জানাই যেন তারা পরবর্তী বছর পূর্ণ ১ বছর মেয়াদী কোর্সে অংশগ্রহণ করে নিজেদের অর্জনকে পূর্ণতা দেয়।
এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোনো সনদপত্র, মার্কশীট বা পাগড়ি বিতরণের আয়োজন করা হয়নি। কারণ আমরা চেয়েছি, শিক্ষার্থীরা পূর্ণাঙ্গ কোর্স সম্পন্ন করে একটি পূর্ণ মর্যাদার সনদ ও পাগড়ির যোগ্যতা অর্জন করুক।
তবে কেউ যদি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে সনদ বা মার্কশীট চেয়ে থাকেন, তাদের অনুরোধে সীমিত সময়ের জন্য তা নবায়নযোগ্য শর্তে প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু পাগড়ি দেওয়া হয়নি কাউকেই, কারণ আমরা চাই পাগড়ি যেন কেবল একটি কাপড় নয়—বরং তা হয় ইলম, তাকওয়া, ও তাযকিয়ার প্রতীক।
🌺 ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি: ফুযালা সম্মেলনে সম্মাননা
আমাদের লক্ষ্য ছিল এবং থাকবে—যেন প্রতিটি শিক্ষার্থী তাদের ইলমি যাত্রার যথাযথ স্বীকৃতি পায়।
তাই ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতে যখন আমরা ‘ফুযালা সম্মেলন’ আয়োজন করবো, সেই সম্মেলনে আমাদের এই প্রথম ব্যাচের ছাত্রদেরও বিশেষভাবে দাওয়াত জানানো হবে। সেখানে পবিত্র অনুভূতির সঙ্গে সকল ফারেগীন শিক্ষার্থীকে পাগড়ি প্রদান ও আনুষ্ঠানিক সম্মাননা দেওয়া হবে।
🤲 দোআ ও প্রত্যাশা
আমরা আল্লাহ তায়ালার দরবারে কৃতজ্ঞচিত্তে প্রার্থনা করি—
তিনি যেন আমাদের এই ছোট্ট প্রচেষ্টাকে কবুল করে নেন,
আর ভবিষ্যতে আরও সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং বরকতময় কার্যক্রম পরিচালনার তৌফিক দান করেন।
আমীন।
📝 সংকলন ও পরিবেশনায়:
ইফতা বিভাগ, মাদরাসাতুর রহমান আল ইসলামিয়া
আরও পড়ুন :